আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

লাদেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারী গ্রেফতার

অনলাইন রিপোর্ট:

আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারী  নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজি-বি) শীর্ষ নেতাসহ সংগঠনটির তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকার বড় মসজিদ সংলগ্ন মাঠে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

তারা হলেন-  মো. আতিকুল্লাহ ওরফে আসাদুল্লাহ ওরফে জুলফিকার (৪৯), মো. বোরহান উদ্দিন রাব্বানী (৪২) ও মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ওরফে শামীম (৪৩)। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট জানায়, মো. আতিকুল্লাহ আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছিলেন। তিনি সম্প্রতি দেশে ফিরে হুজিকে নতুন করে সংগঠিত করার চেষ্টা করছেন।

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, তাদের বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, পাকিস্তান, দুবাই ও সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আতিকুল্লাহর যোগাযোগ রয়েছে। আফগানিস্তানের যুদ্ধকালে ওসামা বিন লাদেন, মোল্লা ওমর, আয়মান আল জাওয়াহিরির মতো আল-কায়েদা ও তালেবান নেতাদের সঙ্গেও তার একাধিক বৈঠক হয়েছে।

আতিকুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা জানান, হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ গঠনের পর এর শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ১৯৯৬ সালে একটি কমিটি করেছিলেন। ওই কমিটিতে আতিকুল্লাহ ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক। পরে তাকে বায়তুল মাল ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০০৬ সালের শুরুর দিকে দুবাই হয়ে সৌদি আরবে গিয়ে আত্মগোপন করেন আতিকুল্লাহ। তিনি একজন বোমা বিশেষজ্ঞ। দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার পর এ বছর মার্চে তিনি দেশে ফিরে হুজির পুরনো সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাদের আবার সাংগঠনিক কাজে সক্রিয় করেন। নতুন সদস্য সংগ্রহ করে সংগঠনের কার্যক্রম চাঙ্গা করার কাজও শুরু করেন তিনি। এজন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংগঠনিক সফর ও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করতেন আতিকুল্লাহ।

তারা আরও জানান, গ্রেফতার নাজিম উদ্দিন শামীম হুজির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি এবং বোরহান উদ্দিন রাব্বানী ফেনী জেলার দায়িত্বে ছিলেন। কাশ্মীরের উত্তেজনা ও রোহিঙ্গা সঙ্কটকে পুঁজি করে তারা নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টায় করছিলেন।